বুধবার, ২৫ Jun ২০২৫, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ যুব উন্নয়ন পরিষদের আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে সামিল হই সকলে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উপলক্ষে সোমবার জেলা সদরের মহিনন্দে অবসিস্থত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুব উন্নয়ন পরিষদের আয়োজনে “পরিবেশ সংরক্ষণে গ্রামবাসীর অবদান” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আব্দুল কাদির ভূঞা হিরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদরের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বায়োগ্যাস প্লান স্থাপন প্রকল্পের (ইমপ্যাক্ট) এর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আমিনুল ইসলাম ও কমিউনিটি সুপার ভাইজার সামিয়া আফরোজ। স্বেচ্ছাসেবী যুব সংস্থা যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খামারী মোঃ জসিম উদ্দিন, আল আমিন, মঞ্জিল, সংগঠনের প্রচার সম্পাদক শাহবিয়া আলম নাদিম, সদস্য মাহবুব হাসান, আবু নোমান সিন্ধু মিয়া প্রমুখ।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম আব্দুল কাদির ভূঞা বলেন, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদান হচ্ছে মাটি, পানি ও বায়ু। এসব উপাদান ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারি না। যেগুলো দূষিত হলেই দূষিত হয় পুরো পৃথিবী। এসব উপাদান বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের মতো আমাদের দেশেও দূষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই পরিবেশ দূষণের কারণেই বিশ্বে প্রতিবছর মৃত্যু হয় এক কোটিরও বেশি মানুষের। আর শুধু বাংলাদেশের কথা যদি বলি, প্রতিবছর মৃত্যু হয় দুই লাখেরও বেশি মানুষ। প্লাস্টিক দূষণের সমাধানে সামিল হই সকলে এ প্রতিপাদ্যের যথাযথ অনুস্বরণ করে চলি তবে মানব জীবনে কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব সংগঠক সাদী বলেন, আমাদের চারপাশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে শহরের পাশাপাশি এখন গ্রামেও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। কোন অবস্থাতেই কারো গ্রামের বসতবাড়ির ভেতরে যেনো পরিবেশ অধিদদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া খামার প্রতিষ্ঠা না করা হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে এমন পোল্ট্রি বর্জ্য পরিহার করতে হবে। আমাদের পরিবেশ আমরাই সংরক্ষণ করবো। পরিবার থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জের সর্বত্রই পরিবেশের ক্ষতি না হয় এমন সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরী করতে হবে। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যুব ও যুব নারীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।